সংসদে খালেদাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি

প্রকাশঃ জানুয়ারি ২৩, ২০১৫ সময়ঃ ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ

সংসদ প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম

bd parlamentদেশজুড়ে চলমান সহিংসতার দায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অভিযুক্ত করে তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে।

এ ইস্যুতে একই সুরে বক্তব্য দিয়েছেন সরকারি ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় তারা এ দাবি তোলেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র সদস্য হাজী সেলিম সংসদের সকল এমপির এক মাসের বেতন বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে সংঘটিত সহিংসতায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থতদের পরিবারকে দেওয়ার প্রস্তাব করেন।

পরে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে হাজী সেলিমের প্রস্তাবকে সমর্থন জানান।

পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত এ আলোচনা শুরু করেন সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশটাকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান। দেশ বাঁচাতে হলে তাকে আইনের আওতায় নিতে হবে।’

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘সরকারবিরোধী আন্দোলনে জনগণকে পাশে না পেয়ে খালেদা জিয়া জনগণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। জনগণকে পাশে পাননি বলেই তিনি মানুষ হত্যা করছেন।’

সাতদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিচারের দাবি উঠেছে। তিনি আরামে থেকে অরাজকতার নির্দেশ দিচ্ছেন। আউট সোর্সিং করে মানুষের ওপর হামলা করা হচ্ছে। তাই তাকে জবাব দিতে হবে। সন্ত্রাস করে যদি দাবি আদায় করা যেত তাহলে বিশ্বে রাজনীতি থাকতো না।’

তিনি বলেন, ‘আশির দশকে বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগপৎ আন্দোলন ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। তখন ওই ভুল না করলে আজ তাদের অস্তিত্ব থাকতো না।’

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘অপরাধীর স্থান অফিসে হতে পারে না। অপরাধীর স্থান জেল খানায়, অন্য কোথাও নয়। সংসদ চায় অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হোক। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসে গেছে। কারণ মানুষ শান্তি চায়, সন্ত্রাস চায় না। সংসদকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সন্ত্রাস ও নাশকতার সঙ্গে কোনো আপস নয়। সরকার কোনো দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র নয়। এখানে দয়ার কোনো স্থান নেই। নাশকতাকে প্রশ্রয় দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা যাবে না। জনগণের জানমাল রক্ষায় কঠোর হতে হবে।’

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এসব বন্ধ না করলে বিএনপি অফিস থেকে জনগণ আপনাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে প্রকাশ্য দিবালোকে বিচার করতে বাধ্য হবে। অনেকে বলছেন, দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে। কিসের সঙ্কট! কোনো রাজনীতির সঙ্কট নেই। যেটা হচ্ছে সেটা জঙ্গি সঙ্কট।’

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘তিনি অবরুদ্ধ নন। বরং তিনিই ১৬ কোটি মানুষকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। অবিলম্বে সরকারকে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা সরকারকেই দিতে হবে।’

জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘একজন মানুষ পোড়াবেন, আরেকজন তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবেন। এই ইঁদুর-বিড়াল খেলা কতো দিন চলবে? সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি না পারে ইতিহাসের কাছে দায়ী থাকতে হবে সরকারকে। বিরোধী দল কোনো দায় নেবে না।’

অনির্ধারিত এ আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের আব্দুল মতিন খসরু ও জাহাঙ্গীর কবীর নানক।

এরপর রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন ডা. দীপু মনি, ইসরাফিল আলম প্রমুখ।

প্রতিক্ষণ/এডি/কবিতা

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G